সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৩

RMG Jubo Songho


আর. এম. জি যুব সংঘের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

      বর্তমানে প্রতিটি গ্রামেই কোন না কোন ক্লাব বা সংঘ গঠিত হয়েছে৷ সংঘের সদস্য প্রতিটি উদীয়মান শক্তিশালী যুবক দ্বারাই পরিচালিত৷ কারন যুবকরাই পারে সর্ব কর্মে সুষ্ঠতা আনতে ৷ আমি আশা রাখি বর্তমান এই আর. এম. জি যুব সংঘটি অতীতের বহু গুনীবর্গের দিক ধারায় ভবিষ্যতে আরও উজ্জল থেকে উজ্জলতর হবে৷ আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে তাদের আর্শিবাদ জানাই ৷
                                                    মোঃ তাইবুর রহমান
                                                   সাবেক সেক্রেটারী
                                                      আর. এম. জি যুব সংঘ ৷

         ১৯৪৭ইং সন হতে এই আর. এম. জি ক্লাবটির শুরু৷ এর প্রথম নাম আর. এম. জি রাইজিং সান হিসাবে নামকরন করা হয়েছিল৷ প্রথম খেলার মাঠ হিসাবে এই রূপসীযাত্রা গ্রামের দক্ষিনে ছলি মোল্লার দাগের উত্তরে নদীর পাড়ে বড় ছন টাল ছিল৷ ঐ ছন টালের ছন ঘাস ফাল্গুনে কেটে পরিষ্কার করে নিলে পর ঐ খানে রাবারের বল দ্বারা খেলা হতো৷ উদ্যোগী হিসাবে সমেজ সরকার সাহেবের ছেলে রাজ্জাক ওরফে নিশানকেই বেশী দেখা যেত৷ উল্লেখ্য যে ঐ ছন টালের উত্তরে নদীর পাড়ে একটি বড় শিমুল গাছ ছিল এবং সেই গাছের পূর্বে প্রান্তে গ্রামের লোকজনেরা ঈদের নামাজের মাঠ তৈরী করেছিল এবং সেখানে নামাজ পড়া হতো৷ পরবর্তিতে খেলার মাঠ হিসাবে ঐ তিন গ্রামের সমন্বয়ে বিন্নাউড়ির বিশ্বাসদের ফেলে রাখা জমির উপর বর্তমান যে মাঠ তার পূর্বাংশ দখলে আনে৷ পর আরও জায়গার প্রয়োজন হওয়ায় রূপসী যাত্রা গ্রামেরঃ রহিম সাহেবের জমিটি দখলে আনে৷ দখলে আনতে অনেক ঝগড়া মাথা ফাটাফাটি, কেসও হয়৷ প্রতি বত্‍সর খেলা পরিচালনা করে সম্পূর্ন জায়গাটি একটি স্বাধীন খেলার মাঠে রূপাত্মরিত করা হয়৷ দেখেছি অনেক সময় ঐ জমির মালিকেরা যাতে খেলতে না পারে সেজন্য খেজুরের কাঁটা, তারকাটা, কাঁচ পুতে রাখতো মাঠ জোড়া ৷ আর তত্‍সময়ে যে নামকরণ করা হয় তার পূর্ন ব্যাখ্যা ছিল আর. তে রূপসীযাত্রা, এম. তে মামুদপুর, এবং জি. তে গোমজানিকে ধরা হতো৷ আর এখানে রূপসীযাত্রা-ঘুনিকিশোরকে একই গ্রাম আঙ্গিনা বলে ধরে নিয়েছিল৷ যাহোক খেলা পরিচালনার জন্য পর পর যে কমিটি গঠিত হয় তার প্রথম সেক্রেটারী ছিলেন ডাঃ নজলার রহমান ওরফে আলো মৌলভী সাহেব৷ তার সময়ে প্রখর বেগের খেলোয়ার ছিলেন গোমজানির মোল্লাবাড়ির আমির মোল্লা সাহেব ৷ বর্তমান ডাঃ ইয়াকুব মোল্লার দাদা৷ তারপর সেক্রেটারী হন জনাব জালাল সরকার সাহেব ৷ জনাব জালাল সরকার সাহেবের পর ঐ প্রথম সেক্রেটারী সাহেবের ছেলে জনাব মোঃ বাদশা মিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ জনাব বাদশা মিয়া সাহেবের সময়ে ক্লাবটির নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে৷ তার সময়ে উঁচু লম্বা বেগের খেলোয়ার ছিলেন বান্দাবাড়ির নারু করে নামের একজন৷ উনি উত্তর পাড় থেকে দক্ষিন পাড়ের গোল পোষ্টের সম্মুখে কিকে বল দিতে পারতেন ৷ অতপরঃ সেক্রেটারী হন জনাব মাইন উদ্দিন ওরফে ময়না মিয়া ৷ তার সময়ে এই আর. এম. জি ক্লাবের খেলার টিমটি খুব জোড়ালো টিম হিসাবে তৈরি হয় এবং এ টিমের খেলায় চারদিক বেশ মেতে ওঠে৷ সে সময়ে ক্লাবের এ টিম, বি টিম ও সি টিম নামে তিনটি দল গঠিত হয়েছিল ৷ আর এই তিনটি টিম যে মাঠেই খেলেছে ফাইনালে উঠে বিজয়ী ট্রফি নিয়ে এসেছে৷ জনাব মাইন উদ্দিন সাহেবের পর সেক্রেটারী পদে আসেন জনাব মোঃ তাইবুর রহমান সাহেব৷ উনার সময়ে ক্লাবটির সদস্যদের বসার জন্য অন্তত একটি জায়গা সৃষ্টি হয়৷ বর্তমানে ছিলিমপুর বাজারের উত্তর প্রান্তে ঔষধের ঘর, মুদি দোকান ও ক্লাব ঘর চলমান আছে ৷ উল্লেখ্য যে উনার সময়ে প্রতি বছর ঈদুল ফিতরে অপেন টু অল স্পোর্টস সংগঠিত হতো ৷ উনার উদ্যোগে সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা দ্বারা একটি যুব সংঘ গঠিত হয়, সে হতে এই আর. এম. জি. ক্লাবটি আর. এম. জি. যুব সংঘ নামে নাম করন করা হয়৷ উল্লেখ্য যে, না বল্লেই নয় এই ছিলিমপুর বাজারের পূর্ব পার্শ্বে একটি প্রেজ কোয়ার্টার ছিল৷ সেটি অতীতে অত্র অঞ্চলের মাইঠাইন, হিংগানগর, গোমজানী, রূপসীযাত্রা, মামুদপুর, বাবুপুরের লোকজনেরা উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল৷ পর জনাব তাইবুর রহমান সাহেবের উদ্যোগে ঐ সমাজ কল্যাণ দেলদুয়ার শাখার কর্মকর্তার সহচার্যে সম্পূর্ণ রূপে উঠায়ে দিতে সক্ষন হোন৷ আরও উল্লেখ্য যে, জনাব মাঈন এবং তাইবুর রহমান সাহেবের সময়ে আর. এম. জি. যুব সংঘের যে দলটি গঠিত হয়েছিল সেটি ছিল দক্ষিন টাঙ্গাইল তথা টাঙ্গালের মধ্যে একটি বিশেষ ফুটবল দল৷ দলের খেলোয়ারদের নাম না বল্লেই নয়, যেমন গোলি মোজাম্মেল হক ওরফে বালিজ, বেগে জনাব মাঈন উদ্দিন এবং জনাব তইবুর রহমান, রাইট হাফ জনাব মাঈন উদ্দিন ফরেষ্টার, লেফট হাফ জনাব মানিক মিয়া (মৃত), মিডল জনাব কালু মিয়া (মৃত), লেফট হাফ জনাব আব্দুল জব্বার মিয়া, রাইট আউট জনাব আলাল উদ্দিন এবং তিন ফরওয়ার্ড জনাব রাজ্জক ওরফে নিশান (মৃত), গোলাম মোস্তফা, এবং মামুদপুরের জনাব মোঃ হায়দার আলী (মৃত) ৷ সময়ে কারও অনুউপস্থিতিতে জনাব জয়েন উদ্দিন ওরফে বাচ্চু মিয়া এবং ছিলিমপুর বাজারের এক যুবক খলিফা ছিলেন৷ এই ক্লাবটি ১৯৫৯ইং সন হতে ১৯৮২ইং পর্যন্ত অত্যন্ত সুনাম অর্জন করেছিল৷ আর দেখা যেত তত্‍সময়ে চারদিকে বহু মাঠে খেলাধূলা হতো৷ বর্তমান দেখি সে অনেক মাঠই বন্ধ৷ যেমন আমরা খেলেছি পাকুল্লা, মাইঠাইন, সূবর্নতলী, ঝুমকাই, দেউলী, বহুনা, বরুহা, ছোনাট, পোড়াবাড়ী, চাড়বাড়ি, পাথরাইল, দেউজান, বীরপুশিয়া, হিংগানগর, সিংহরাগী, দড়িপাড়া, আবাদপুর, এলাসিন, পাঁচতারা, বাওপুর ইত্যাদি মাঠে ৷ 
 
 
      আর এম. জি যুব সংঘ একটি বিশ্বাস৷ তিনটি গ্রামের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন এটি৷ ক্লাবের জন্য জীবন বাজী রাখতেউ কুন্ঠা বোধ করে না সদস্যগণ ৷ পূর্বপুরষগনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রচীন সংগঠনটি ৷ নিজস্ব খেলার মাঠ, ক্লাব ঘর বিদ্যমান একটি প্রতিষ্ঠিত সংগঠন৷ তিনটি গ্রামের আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা সবাই এর সদস্য৷ এলাকার উত্‍সাহী যুবকবৃন্দ্রের দ্বারা এটি পরিচালিত৷ প্রতিদিন বিকেলে মাঠে ফুলবল খেলা হয়৷ অত্র অঞ্চলের এটি একটি শ্রেষ্ঠ ক্লাব৷ সামাজিক যে কোন কর্মকান্ডেই ক্লাবের ভূমিকা প্রধান্য পায় ৷

       

ছিলিমপূরের ইতিহাস (2)

 ছিলিমপূরের ইতিহাস (মোঃ নূরুল ইসলাম মাষ্টারের পান্ডুলিপি থেকে নেওয়া) (২য় অংশ) ছিলিমপুরের ছোট তরফের কাছারি বাড়ি ছোট হলেও এর নায়েব গোমস্তারা...