সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৩

Friends Welfare Organization (FWO)


 ভূমিকাঃ বন্ধু সমাজ কল্যান সংস্থা একটি আত্মউন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠান৷ এই সংস্থাটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়৷ বন্ধু তথা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সংগঠটি জন্ম লাভ করে৷ 


কার্যক্রমঃ
১৷ পুঁজি তৈরি করাঃ প্রতি মাসে প্রত্যেক সদস্য ১,০০০.০০ (এক হাজার) টাকা করে সমিতির নির্দিষ্ট ফান্ডে জমা করেন৷ জমাকৃত অর্থ ব্যাবসা সহ বিভিন্ন ভাল কাজে ব্যায় করা হয়৷ 



২৷ বৃক্ষ রোপনঃ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বৃক্ষ রোপন এবং পরিচর্যা সংগঠনটির একটি চলমান কার্যক্রম৷ 






৩৷ স্বাস্থ্য সেবাঃ গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠির সুস্থতার প্রশ্নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা৷ 


৪৷ বিবাহ ভাতাঃ অতিদরিদ্র কন্য দায়গ্রস্থদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান৷ 



৫৷ রক্তদানঃ জরুরী রক্তদান সংগঠনটির একটি কার্যক্রম৷ গ্রামের যে কারোও রক্তের প্রয়োজনে সংগঠন এর সদস্য ও গ্রামের মানুষ এতে সহযোগিতা করেন৷ রক্তদান কর্মসূচী ও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করন কর্মসূচীর মাধ্যমে ব্লাড ব্যাংক এর সদস্য হিসেবে আমরা এ সেবায় সহযোগিতা করি৷ 



৭৷ শিক্ষা সফরঃ বাত্‍সরিক শিক্ষা সফর মাধ্যমে সংগঠনের সমস্ত পরিবারের সদস্য নিয়ে বিখ্যাত যায়গা ভ্রমন করা হয়৷ এভাবে বাংলাদেশের সমস্ত জায়গা ভ্রমন করা আমাদের একটি লক্ষ্য ৷ 



৮৷ চক্ষু সেবাঃ এলাকার মানুষের চোখের চিকিত্‍সার সেবা প্রদান করার জন্য সহযোগিতা করা ৷ 


৯৷ শিক্ষা বৃত্তি প্রদানঃ দরিদ্র মেধাবী ছাত্রদের পড়াশোর সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা ৷ 




বন্ধু সমাজ কল্যাণ সংস্থা, ছিলিমপুর, টাংগাইল ২রা বৈশাখ, ১৪২১ বাংলা রোজ মঙ্গলবার :০০ ঘটিকার সময় বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে বন্ধু সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে আর.এম.জি যুব সংঘের খেলার মাঠে কৃতি শিক্ষার্থী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷
 

কৃতি শিক্ষার্থী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তালিকা


ক্রমিক নং শিক্ষার্থীর নাম পিতার নাম গ্রাম শ্রেণী
মোঃ রাবি্ব মিয়া মোঃ ফিরোজ ঘুনিকিশোর ২য়
মোঃ হিমেল সিকদার মোঃ হাশেম মিয়া রূপসী যাত্রা ৩য়
মোসাঃ সাদিয়া ইসলাম মোঃ শরীফুল ইসলাম (তারা) রূপসী যাত্রা ৪র্থ
মোঃ কৌশিক আহমেদ হারুন-অর-রশিদ (কাঞ্চন) রূপসী যাত্রা ৪র্থ
মোঃ জুবায়ের মোঃ বেলায়েত হোসেন রূপসী যাত্রা ৫ম
২০১৩ইং সালে অনুষ্ঠিত সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত
মোঃ আরাফাত রহমান (সিয়াম) ৬ষ্ঠ
২০১৩ইং সনে অনুষ্ঠিত সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ প্রাপ্ত
তাসরিফ হাসান কাদরী কামরুল হাসান (নয়া) ঘুনিকিশোর ৬ষ্ঠ
মোঃ সিয়াম রহমান মোঃ আব্দুল লতিফ ঘুনিকিশোর ৬ষ্ঠ
মোঃ আরাফাত সিকদার মোঃ হাবিবুর রহমান রূপসী যাত্রা ৬ষ্ঠ
১০ আনিকা রহমান মোঃ আনিছুর রহমান রূপসী যাত্রা ৬ষ্ঠ
১১ মোসা: সামিয়া আক্তার শোয়েব মাহমুদ (চারু) ঘুনিকিশোর ৬ষ্ঠ
রূপসী যাত্রা এবং ঘুনিকিশোর গ্রামের কৃতি শিক্ষার্থী
ক্রমিক নং শিক্ষার্থীর নাম পিতার নাম গ্রাম শ্রেণী
১২ লিনা আক্তার শাহজাহান রূপসী যাত্রা ৭ম
১৩ স্বর্ণা আক্তার শাহজাহান (ফকির) রূপসী যাত্রা ৭ম
১৪ সজীব মিয়া ছানোয়ার হোসেন ঘুনিকিশোর ৮ম
১৫ মারিয়া আক্তার মাছুদ মিয়া রূপসী যাত্রা ৮ম
১৬ রাতিন আহমেদ আব্দুল আলিম রূপসী যাত্রা ৮ম
১৭ শারমীন আক্তার খোরশেদ আলম ঘুনিকিশোর ৯ম
১৮ তনিমা আক্তার ফজলুল হক রূপসী যাত্রা ৯ম
১৯ ইমন খান আব্দুর রউফ খান রূপসী যাত্রা ১০ম
২০ রিয়া আক্তার হাশেম আলী রূপসী যাত্রা ১০ম
২১ রাকিব হাসান মোকাদ্দেছ আলী ১০ম

বন্ধু সমাজ কল্যাণ সংস্থা, সেবা চক্ষু হাসপাতাল, আর. এম. জি যুব সংঘের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৬-০৪-২০১৪ইং সালের ২রা বৈশাখ বৈশাখী মেলার আয়োজনে বিনামূলে চক্ষু চিকিত্সার আয়োজন করা হয়৷ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যনত্ম চলে এই চক্ষু শিবির৷ এতে ২১৫ জন রোগীর ব্যাবস্থাপত্র প্রদান করেন একজন ডাক্তার জন সহযোগীর মাধ্যমে৷ ভলেন্টিয়ার হিসাবে কাজ করেন পলাশ, লিটন, ওয়ালী, ভুট্টো, টিটু, মিঠু, রেফাজ, মুশফিক, আলমগীর, শাহিনুর, ছেকান্দার সহ আরও অনেকে৷ ক্যাম্প এর কার্যক্রম চলে ছিলিমপুর এম. . করিম বহুমুখী হাইস্কুলের একটি কক্ষে৷ রোগীদের হাতের নাগালে ঔষধ নিয়ে আসেন জৈনক মার্কেটিং এর এক ব্যাক্তি৷ পয়সার অভাবে ঔষধ না কিনতে পারা দরিদ্রকে তিনি বিনামূল্যেও ঔষধ প্রদান করেন৷ অপারেশন করানোর জন্য ১৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তির জন্য আগমন করেন৷ বিগত বত্সরের তুলনায় এবার রোগীর সংখ্যা কম হয়েছিল৷ ইদানিং আশে পাশের এলাকায় ক্যাম্প আয়োজন হয়ে যাওয়াতেই রোগীর সংখ্যা কম হয়৷ গত বত্সর জন ডাক্তার রোগী দেখতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছিলেন৷ বেশিরভাগ বয়স্ক রোগীর চোখেই ছানি পড়া৷ মাঝ বয়সী রোগীদের কাছের লেখা দেখতে পারার সমস্যা৷ ছোট রোগীদের চোখ দিয়ে পানি পড়া সমস্যা৷ চোখের জ্বালা পোড়া সমস্যা অনেকের৷ কাছের অক্ষর না বুঝতে পারাদের জন্য চশমার সাজেশন বেশি দেখলাম৷ ডাক্তার আপা গ্রামের অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষদের ধমকের সুরে শিখিয়ে দিচ্ছিলেন চোখের যত্ন করার নানা কৌশল৷ রোগীরা বসে থেকে থেকে আগে দেখানের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজনদের৷
 

আত্মীয় বাড়ি গিয়ে জানতে পারলাম পাশেই বাবার এক বন্ধুর বাড়ি৷ আত্মীয়দের বলে রেখেছিলেন আমি আসলে যেন দেখা করি৷ গেলাম দেখা করতে৷ সৌম্য কানত্ম সুদর্শন বৃদ্ধ কাকা অন্ধ৷ অনেক গল্প করলেন৷ বিশেষ করে মুক্তি যুদ্ধের গল্প৷ আমার বাবা কিভাবে তাকে মুক্তিযোদ্ধাদের হাত থেকে প্রান বাঁচিয়েছিলেন সে গল্প৷ মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনছিলাম৷ ধরনের অসহায় বৃদ্ধেরা সোনালী অতীত রোমন্থন করে খুব মজা পান মনে হয়৷ চলে আসার সময় তিনি বলেছিলেন বাবা আমার আর জীবনে কোন কিছু চাওয়ার নেই৷ শেষ বয়সে যদি একবার এই সুন্দর পৃথিবীটা দেখে যেতে পারতাম তবে মরেও শানত্মি পেতাম৷

বেশ কিছু কাল পর আবারও একদিন আত্মীয় বাড়ি গিয়ে খবর পেলাম তার চোখ ভাল হয়েছে৷ দেখতে গেলাম, তিনি যেন ২০-২৫ বত্সরের এক যুবক হয়ে গেছেন৷ হাতে লাঠি নেই৷ মেরম্নদন্ড সোজা, মুখে হাসি৷ "পৃথিবী যে কত সুন্দর তিনি এখন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন" এভাবেই তিনি দেখতে পারার মর্ম বর্ননা করেছিলেন৷


লক্ষ্যঃ 

সংগঠনের সকল সদস্য একসাথে পবিত্র হজ্ব ব্রত পালন ৷ 



উদ্দেশ্যঃ 

অনুকরনীয় ততীত তৈরি করা যাতে এলাকার পরবর্তি প্রজন্ম অনুসরণ করতে পারে ৷


ছিলিমপূরের ইতিহাস (2)

 ছিলিমপূরের ইতিহাস (মোঃ নূরুল ইসলাম মাষ্টারের পান্ডুলিপি থেকে নেওয়া) (২য় অংশ) ছিলিমপুরের ছোট তরফের কাছারি বাড়ি ছোট হলেও এর নায়েব গোমস্তারা...